writings on the wall

 


পর্ব ০৭ কৈশোর পেরিয়ে -০৪ যখন কোনো পরিবেশে বড় হয়, শিশুরা তখন সেই পরিবেশের আদল টা বুঝতে পারেনা, শুধু বিগ ব্যাং রিং এর একটা লিভিং অব্জেক্ট হিসাবে নিজের চিহ্ন রেখে যায় । বাবা মা –রা যথেষ্ট চেষ্টা করেন, ভাল একটা পরিবেশ দিতে, হয়ে ওঠে না সব সময়। বাবার কর্মস্থল এবং আবাসস্থল, বাবার আয়, ভাই বোন, বন্ধুবান্ধব, পাড়া প্রতিবেশী, এগুলো ফ্যাক্টর হয়ে দাড়ায়। এ ধরণের পরিবেশ এর মাঝে বড় হতে হতে কৈশোর পেরিয়ে যেতেই জীবনে হঠাৎ একটা ভিন্ন রকমের পরিবর্তন এল । আব্বা হয়ত মনে করেছিলেন ছেলে এখানে থাকলে বিগড়ে যাবে, তাই কোন বোর্ডিং স্কুলে বা এর থেকে, ভাল কোনো জায়গায় পাঠালে ভাল হয় কি না সেই চিন্তায় মগ্ন ছিলেন । ক্যাডেট কলেজ নামক একটা ইন্সিটিউট এ ভর্তির প্রস্তুতি নেবার জন্য আমাকে বলা হল । কোন আইডিয়া নেই এ সম্পর্কে, সিক্সে যা পড়েছি তার উপরেই পরীক্ষা নেয়া হবে, টেক্সট বই এর বাইরে, খবরের কাগজ, স্বদেশ ও বিশ্বের ডায়েরি , এসবও এনে দেওয়া হল আমাকে, পড়াশোনার ব্যাপারটা ভেতরে এমন ভাবে গেঁথে দেয়া হয়েছিল যে এটা নিয়ে কথা বলার কোন সু্যোগ ছিল না । নিজেকে প্রমান করাটা ছিল ছেলেবেলার একটা মিশন । পড়া বই এর উপরেইতো প্রশ্ন হবে, দিয়েই দেখি কি হয় । দৌলতপুর, খুলনা র ছোট্ট একটি উপশহর , কোচিং করতে যেতাম, খুলনা সেন্ট জোশেফ স্কুলর পাশে । জেলা স্কুল, সেন্ট জোশেফ স্কুল, আরও স্কুলের বন্ধুরা আসত কোচিং করতে, ক্লাস টেস্ট গুলাতে ২ টাকা করে জমা নেয়া হত, যারা ভাল করত তদের দেয়া হত পুরষ্কার হিসাবে । প্রথম পরীক্ষায় বেশী ভাল করতে পারিনি , দ্বিতীয় পরীক্ষায় সেকেন্ড হয়ে অনেকগুলা টাকা পেলাম। এই প্রথম চল্লিশ টাকা একসাথে হাতে পেলাম, সে কি উৎসাহ । যাই হোক ফাইনাল পরীক্ষায় চান্স পেয়ে গেলাম, এর পর মৌখিক পরীক্ষা , সেখানে সেন্টারে প্রথম হলাম , পঞ্চাশ জনের ভেতর আমার নাম আসল, বাবা মা আনেক খুশি। আমাকে বলা হল অনেক বড় খেলার মাঠ আছে, নিজস্ব রুম আছে থাকার, অনেক বন্ধু হবে, আর্মির মতো ড্রেস পো্রতে হয়, টাই পরে থাকতে হয়, আরো কত কিছু। একদিক দিয়ে থ্রিল্ড হলেও এত দিনের বন্ধু বান্ধব, বাবা মা, ভাই বো্ন ছেড়ে যেতে খুব খারাপও লাগছিল । ছোট ভাই টা অনেক ছোট, তখন চা্র বছর বয়স, ও বুঝতে পারছে ভাইয়া আমাদের রেখে দূরে কোথাও যাচ্ছে, উপর দিকে তাকিয়ে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকত সুধু , কিছু বলত না। যাবার আগে প্রায়ই আম্মা কাঁদত, স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বেশি আদর করত, দুষ্টুমি করলে ও কিছু বলত না । আগে, সপ্তাহে মিনিমাম তিন চার দিন চড় থাপ্পড় খেতাম, তাও বন্ধ হয়ে গ্যাছে, অস্থির আর ব্যাস্ত ভাগদৌড় জীবন কেমন যেন থমকে গ্যাছে ......... ক্রমশঃ

No comments:

Post a Comment

কোয়ালিটি প্রডাক্ট, এফোর্ডেবল লেডিজ গার্মেন্টস

  বেক্সিভ ভয়েল টারশেল বাটিক 😍 অরজিনাল ৮০/৮০ সুতা হাই কোয়ালিটি  সুতি বাটিক থ্রি পিস কালেকশন 😍 😇গরমে পরিধানের জন্য অত্যন্ত আরামদায়ক হাই ...